সকল প্রকার রোগীদের প্রতি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের কর্তব্য

  • একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সবসময় নিশ্চিতভাবে তাঁর কার্যকলাপের সর্বোচ্চ মান রক্ষা করবেন।
  • একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক কখনো নিজে শুধুমাত্র আয়ের উদ্দেশ্য দ্বারা প্রভাবিত হতে পারবেন না।
  • একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের অবশ্যই উদ্দেশ্য থাকবে রোগীকে সামগ্রীকভাবে চিকিৎসা করার এবং তাঁর চিকিৎসার ধারা নিশ্চয়ই ডাক্তার স্যামুয়েল হ্যানিম্যান রচিত ‘অর্গানন অব মেডিসিন’ নামক গ্রন্থের উপর প্রতিষ্ঠিত হবে।
  • একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সর্বদা রোগীর স্বাস্থ্যকে পুনরুদ্ধার করা ও মানুষের জীবন রক্ষা করার গুরুত্বকে নিশ্চিতভাবে মনে রেখে চিকিৎসা কর্মে ব্রতী হবেন।
  • একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের নিকট তাঁর রোগী পূর্ণ আনুগত্যের এবং তাঁর পেশাগত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার দাবী রাখে। যখনই কোন চিকিৎসা বা পরীক্ষা তাঁর সাধ্যের বাইরে হবে তখন তিনি অপর এমন একজন চিকিৎসককে আহবান করবেন যাঁর প্রয়োজনীয় যোগ্যতা আছে, অথবা তিনি সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ বা চিকিৎসা গ্রহণের জন্য রোগীকে উপদেশ দিবেন।
  • চিকিৎসক হিসাবে তাঁর উপর যে বিশ্বাস ন্যস্ত করা হয়েছে যে পরিপ্রেক্ষিতে একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক রোগীর রোগ সম্বন্ধীয় যাবতীয় গোপন তথ্য যা তাঁকে বলা হয়েছে বা তিনি নিজে জানতে পেরেছেন সে সবের কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করতে রোগীর নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন।
  • একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক জরুরী ক্ষেত্রে কোন রোগীকে নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করবেন, যদি না তিনি আশ্বস্ত হন যে তা অন্য কারও দ্বারা সম্ভব এবং তিনি তা নিশ্চয়ই দেবেন।
  • একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক নিশ্চয়ই এমন শক্তিকৃত ঔষধ ক্ষুদ্রতম মাত্রায় প্রয়োগ করবেন যা সুস্থ মানবদেহে পরীক্ষিত হয়েছে অথবা এই পেশার সাথে জড়িত উপযুক্ত বা যোগ্য ব্যক্তির দ্বারা চিকিৎসা শাস্ত্রানুসারে অনুমোদিত।
  • একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক 1983ইং সালের বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্রাকটিশনার্স অর্ডিন্যান্স নং 41 নিশ্চয়ই অনুসরণ করবেন এবং ভবিষ্যতে সরকার কর্তৃক গৃহীত হোমিওপ্যাথিক মূলনীতি ভিত্তিক ব্যবস্থাদি অবশ্যই পালন করবেন।